শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার ভোগান্তি কমাবে পদ্মা সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে ২৫ জুন। সেই অপেক্ষার ক্ষণ গুনতে শুরু করেছে মানুষ। সেতুটি চালু হলে যানবাহনের চাপ কমবে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের আরেক প্রবেশদ্বার পাটুরিয়াদৌলতদিয়া নৌরুটে। এতে ঘাটে যানজট আর যাত্রী ভোগান্তি কমবে। ফলে নৌরুটেও স্বস্তি ফেরাবে পদ্মা সেতু

যাত্রী পরিবহন শ্রমিকরা জানান, ঘনকুয়াশা, তীব্র স্রোত, নাব্য, ঘাট ফেরি সংকটসহ নানা কারণে বছরজুড়েই পাটুরিয়াদৌলতদিয়া নৌরুটে দুর্ভোগ ভোগান্তি লেগেই থাকে। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে যানবাহনের চাপ বাড়লে দুর্ভোগ পৌঁছে চরমে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পদ্মা সেতু চালুর পর ঘাটের চিত্র আর নাও দেখা যেতে পারে

  কুষ্টিয়া সদরের বাসিন্দা সজিব খান জানান, পদ্মা সেতু চালুর পরও কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ রাজবাড়ী ফরিদপুরের একাংশের মানুষ পাটুরিয়াদৌলতদিয়া নৌরুট ব্যবহার করবেন। খুলনা বরিশাল অঞ্চলের গাড়ি যাতায়াত করবে পদ্মা সেতু হয়ে। ফলে ঘাটে যানবাহনের চাপ কমবে। আগের মতো আর যানজটে পড়তে হবে না। তাই প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে পদ্মা সেতুর সুবিধা রুটে মিলবে বলে মনে করেন তিনি

গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ফেরিযাত্রী রহম আলী জানান, ঘাটে অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে সময় এবং খরচ দুটোই বাঁচবে। ঘাটে আর ভোগান্তি পেহাতে হবে না

 আরেক যাত্রী আশিক মাহমুদ জানান, ঈদের সময় কখনো কখনো ১১১২ ঘণ্টা ফেরিঘাটে বসে থাকতে হয়েছে। পদ্মা সেতুর কারণে গাড়ির চাপ কমবে। ফলে ফেরিঘাটে এতো ভোগান্তি আর হবে না

তিনি আরও বলেন, যারা ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে আসে তারাই ঘাট ব্যবহার করবেন। পরিবহন ছোট গাড়ির যাত্রীরা বেশিরভাগই পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত করবেন

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, পাটুরিয়াদৌলতদিয়া নৌরুটে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে সাত হাজার যানবাহন পারাপার হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে যানবাহনের চাপ কমবে

তবে ছোট গাড়ি পরিবহনের সংখ্যা কমলেও ট্রাকের সংখ্যা আগের মতোই থাকবে। কারণ সেতুতে ওজন নির্ধারণ থাকবে। ওভারলেড নিয়ে ট্রাক পারাপার হতে পারবে না। প্রথম দিকে নৌরুটে ৩০৪০ শতাংশ যানবাহন কমতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি

খালেদ নেওয়াজ আরও জানান, দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য শিমুলিয়াবাংলাবাজার এবং পাটুরিয়াদৌলতদিয়া নৌরুট ছিল। পদ্মা সেতুর ফলে শিমুলিয়াবাংলাবাজার নৌরুটটি আর থাকছে না। ফলে পাটুরিয়াদৌলতদিয়া নৌরুটেও আর ফেরি সংকট হবে না। শিমুলিয়াবাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিগুলো পাটুরিয়াদৌলতদিয়া আরিচাকাজীরহাট নৌরুটে যুক্ত হবে। এতে পাটুরিয়াদৌলতদিয়া নৌরুটে বড় ধরনের দুর্ভোগ ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ পারাপার হতে পারবেন

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com